যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে আলোচনার মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, ভিড় বেড়েছে সাংবাদিকদের।
মঙ্গলবার কারা ফটক ও আশপাশের এলাকায় বাড়তি পুলিশ নিয়োজিত করা হয়। নিরাপত্তায় রয়েছে র্যাব সদস্যরাও।
লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সঞ্জীব কুমার রায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যেহেতু কারাগারের ভিতরে একজন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী রয়েছেন এবং কারাগারের ফটকে প্রায় ১০০ সংবাদকর্মী ভিড় করেছেন তাই আমরা বাড়তি পুলিশ নিয়োজিত করেছি। এছাড়া কারাগারের দেয়ালের চারিদিকে নিরাপত্তা বাড়িয়েছি।”
একাত্তরের বদর কমান্ডার নিজামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হওয়ার পর তাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের এই কারাগারে আনা হয়। তার আগে যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লা, মো. কামারুজ্জামান, আলী আহসান মো. মুজাহিদ ও সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে এখানে।
রিভিউ খারিজের মধ্য দিয়ে আদালতের সব বিচারিক প্রক্রিয়ার নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর আমির নিজামীর সামনে এখন কেবল ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগই বাকি।
তিনি ক্ষমা না চাইলে কিংবা তার ক্ষমার আবেদন রাষ্ট্রপতি প্রত্যাখ্যান করলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু করবে কারা কর্তৃপক্ষ।
কখন এই প্রক্রিয়া শুরু হবে সে খবর জানতে সকাল থেকেই কারাগারের সামনে ভিড় করেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা।
কারাগারের সামনে থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদক কামাল তালুকদার জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. ইকবাল হাসান, সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবীর, জেলার আবু নাসের কারাগারে প্রবেশ করেন। এর কিছুক্ষণ পরে কর্নেল ইকবাল বের হয়ে যান।
তবে দুপুর পর্যন্ত কোনো ম্যাজিস্ট্রেটকে কারাগারে ঢুকতে দেখেননি কামাল তালুকদার। কারা কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।
নিয়ম অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট এসে নিজামী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না সে বিষয়ে জানতে চাইবেন।
এ বিষয়ের নিষ্পত্তি হয়ে গেলে নিজামীর স্বজনদের শেষদেখার জন্য ডাকা হতে পারে, যা আগের রায়গুলো কার্যকরের ক্ষেত্রে হয়েছিল।