• আমাদের কথা
  • বিজ্ঞাপন
  • শর্তাবলি
  • যোগাযোগ
  • বেটা ভার্সন
সোমবার, মে ২৩, ২০২২
ঢাকা পোষ্ট
Advertisement
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • সারাদেশ
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • লাইফ স্টাইল
  • স্বাস্থ্য
  • পরবাস
  • অন্যান্য
    • সম্পাদকীয়
    • নির্বাচন
    • অপরাধ
    • আইন আদালত
    • মতামত
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • সারাদেশ
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • লাইফ স্টাইল
  • স্বাস্থ্য
  • পরবাস
  • অন্যান্য
    • সম্পাদকীয়
    • নির্বাচন
    • অপরাধ
    • আইন আদালত
    • মতামত
No Result
View All Result
ঢাকা পোষ্ট
No Result
View All Result

ফাঁসির মঞ্চে বললেন আমি খুন করিনি

ঢাকা পোস্ট by ঢাকা পোস্ট
October 13, 2021
in অপরাধ
0
ফাঁসির মঞ্চে বললেন আমি খুন করিনি
0
SHARES
17
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

ঢাকাপোষ্টবিডি.কম: দিনাজপুর জেলা কারাগার। ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত। জল্লাদকেও অন্য একটি জেলা কারাগার থেকে নিয়ে আসা হয়েছে দিনাজপুরে। আর কয়েক ঘণ্টা পরই ফাঁসির মঞ্চে আলো জ্বলবে। স্বাধীনতার পর দিনাজপুর জেলা কারাগারে এটিই প্রথম ফাঁসি কার্যকরের জন্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে। এ কারণে আয়োজনটাও একটু বেশি। কোনো রকম ত্রুটি-বিচ্যুতি যেন না ঘটে। সে কারণে জেল কর্মকর্তাদের দৌড়ঝাঁপও একটু বেশি। কারাগারে প্রথমবারের মতো এই ফাঁসির রায় কার্যকরের ঘটনাটি একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রস্তুত করা হয়েছে কারাগার। কিছুক্ষণের মধ্যেই জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন আসবেন। সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। চলতি বছর ৯ জুন এভাবেই প্রস্তুত হচ্ছিল দিনাজপুর জেলা কারাগার। যাকে কেন্দ্র করে পুরো কারাগারে এমন কর্মচাঞ্চল্য, সেই ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি আবদুল হকের মধ্যে ছিল না কোনো প্রতিক্রিয়া। কারণ, তিনি জানতেও পারছিলেন না যে তাকে নিয়েই কারাগারে সৃষ্টি হয়েছে ভিন্ন এক পরিবেশ। কয়েক ঘণ্টা পরই ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হবে তাকে। কনডেম সেলে বন্দী আবদুল হক শুয়ে বসে সময় কাটাচ্ছেন অন্যান্য দিনের মতোই। কারাগারে তার বন্দী জীবন যখন শুরু হয়, তখন তার বয়স ছিল ৩৩। এখন ৫২। দীর্ঘ ১৯ বছর কারাগারে বন্দী জীবনের অবসান ঘটবে তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। সেদিন বিকালেই কারাগারের ফাঁসির সেলের কাছে হঠাৎ আত্মীয়-স্বজনকে দেখে তার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। অন্যান্য সময়ে যেভাবে তাকে দেখতে আসতেন, সে রকম সাধারণ দিনের মতোই ভেবেছিলেন আবদুল হক। আত্মীয়-স্বজনকেও এ বিষয়ে কথা বলতে বারণ করে দিয়েছিলেন কারা কর্তৃপক্ষ। করোনাকাল। যে কারণে, যারা দেখতে আসতে পারেনি, তাদের সঙ্গেও মোবাইলে কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়। এরপরও ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি আবদুল হক, এ দেখাই শেষ দেখা প্রিয় স্বজনদের সঙ্গে। সন্ধ্যার মধ্যেই সবাই চলে যান। আবারও একা জীবন। আত্মীয়রা সঙ্গে করে কিছু খাবার এনেছিলেন। আর এনেছিলেন তার প্রিয় আম। সেই আম কেটে দেওয়া হয়েছিল আবদুল হককে। কিন্তু খাননি। প্লেট ভর্তি আম রয়ে গেছে। কিছু সময় পর একজন ডেপুটি জেলার কয়েকজন কারারক্ষীকে নিয়ে গেলেন সেই কনডেম সেলে। আবদুল হক শুয়ে ছিলেন। কারা কর্মকর্তার ডাকে তিনি উঠে বসলেন। ডেপুটি জেলার তাকে বললেন, আপনাকে প্রস্তুত হতে হবে। আর কিছুক্ষণ পরই যেতে হবে। এটাই জীবনের শেষ সময় আপনার। ডেপুটি জেলারের মুখে এমন ভয়ংকর কথা শুনে কিছু বললেন না আবদুল হক। কথাটা শোনা মাত্রই সামনে রাখা প্লেট ভর্তি আমের দিকে তাকালেন। আমের টুকড়া হাতে নিয়ে মুখে দিলেন। খেতে থাকলেন। একটা শেষ হতে আরেকটা। একটার পর একটা। তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছেন। অন্য কোথাও তাকাচ্ছেন না। দৃষ্টি আমের প্লেটে। সেদিকে তাকিয়েই খেয়ে যাচ্ছেন। মনে হচ্ছিল দৃষ্টি সরালেই হয়তো কেউ আম সরিয়ে নেবে। চোখ তার সরেনি প্লেট ভর্তি আম শেষ না হওয়া পর্যন্ত। আবদুল হক কোনো কথা বলেননি। জবান বন্ধ। ডেপুটি জেলার তাকে জিজ্ঞাস করলেন, আর কিছু খেতে মন চায় কি না। কিন্তু আবদুল হকের জবান বন্ধ। ডেপুটি জেলার তাকে প্রস্তুত হতে বলে চলে গেলেন। এরপর আসলেন জেলা কারাগার মসজিদের ইমাম। আবদুল হককে গোসলের পর অজু করতে বলেন। এরপর তওবা পাঠ করান তাকে। একদম ধীর স্থির হয়ে যান আবদুল হক। কোনো কথাই ছিল না তার মুখে। ইতিমধ্যে সময় ঘনিয়ে আসে। রাত পোনে ১২টায় তার সেলে যান জেলার, ডেপুটি জেলার, কারারক্ষী আর জল্লাদের সহযোগী। কালো রঙের জমটুপি পরিয়ে ধীরে ধীরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মঞ্চের দিকে। হাতে লাগানো হ্যান্ডকাফ। কিছুই বলছিলেন না। বাধাও দিচ্ছিলেন না আবদুল হক। তার কোনো বিকার ছিল না। তাকে দাঁড় করানো হয় মঞ্চে। জল্লাদ তার গলায় পরিয়ে দেন ফাঁসির দড়ি। সেখান থেকে সরে মঞ্চের হাতল নিয়ে প্রস্তুত হলেন। পিনপতন নিস্তব্ধতা। জেল সুপার তার বাম হাত উঁচু করে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে আছেন। আরেক হাতে তার লাল রুমাল। ১২টা ০১ মিনিটেই তার হাতের রুমাল ছেড়ে দেবেন। জল্লাদ তখনই হাতল ধরে টান দেবেন। আবদুল হকের পায়ের নিচের দুই পাটাতন দুই পাশে সরে যাবে। ঝুলে পড়বেন আবদুল হক। এমনই এক শাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। আর মিনিট সময় আছে। টিক টিক করে ঘড়ির সেকেন্ডের কাঁটা ঘুরছে। জল্লাদ হাতলে হাত রেখে তাকিয়ে আছেন জেল সুপারের হাতের রুমালের দিকে। আর দশ সেকেন্ড! ঠিক তখনই আবদুল হকের জবান খুলল। তিনি চিৎকার করে বলে উঠলেন, আমি খুন করিনি। হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করুন। এ সময় আঁতকে ওঠেন উপস্থিত সবাই। বলে কী লোকটা। কিন্তু আবদুল হকের শেষ শব্দটাই ছিল জীবনের শেষ মুহূর্ত। রুমাল শূন্যে ভাসছে। জল্লাদ ততক্ষণে হাতল টেনে ধরেছেন। ফাঁসির দড়িতে ঝুলছেন আবদুল হক। স্ত্রী হত্যার দায়ে চলতি বছরের ৯ জুন বুধবার দিবাগত রাত ১২টা এক মিনিটে দিনাজপুর জেলা কারাগারে প্রথম ফাঁসি কার্যকর হলো এভাবেই।

জানা গেছে, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভক্তিপুর চৌধুরী পাড়া এলাকার মৃত আছির উদ্দীনের ছেলে মো. আবদুল হক। একই এলাকার বেলী আক্তারকে তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই আবদুল হক যৌতুকসহ নানা কারণে বেলী আক্তারের ওপর নির্যাতন করতেন। এক পর্যায়ে ২০০২ সালে ৮ ফেব্রুয়ারি আবদুল হক তার স্ত্রীকে হত্যা করে ফেলেন। পরে বেলী আক্তারের মা বাদী হয়ে ২০০২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৫। জিআর নং-৮৬/ ২০০২, নারী ও শিশু মামলা নং-৩৩৭/২০০২, ধারা- ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ (ক)। ২০০৭ সালের ৩ মে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আবদুল হককে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে। পরবর্তীতে হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে সাজা বহাল থাকায় সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন আবদুল হক। রাষ্ট্রপতি সবকিছু বিবেচনায় গত ১৮ মে প্রাণভিক্ষার আবেদন না মঞ্জুর করলে ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। গত ৯ জুন দিনাজপুর জেলা কারাগারে আবদুল হকের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। আর এই ফাঁসি কার্যকর করতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অহিদুল ইসলাম নামে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দীকে জল্লাদ হিসেবে আনা হয়। দিনাজপুর জেল সুপার মো. মোকাম্মেল হোসেন লাল রুমাল ফেলে ফাঁসির সংকেত দেন। এ সময় জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিপিএম, পিপিএম (বার), সিভিল সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুস ছাড়াও রংপুর ডিআইজি (প্রিজন) আলতাফ হোসেন, জেলার ফরিদুর রহমান রুবেল, কারা চিকিৎসকসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ২০০২ সালের ২৮ আগস্ট থেকে আবদুল হক রংপুর জেলা কারাগারে বন্দী ছিলেন। ফাঁসির রায় কার্যকর করতে তাকে দিনাজপুর জেলা কারাগারে নেওয়া হয়।

Previous Post

৭ বদঅভ্যাস মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর

Next Post

নেপালে বাস খাদে, নিহত ২৮

ঢাকা পোস্ট

ঢাকা পোস্ট

Next Post
নেপালে বাস খাদে, নিহত ২৮

নেপালে বাস খাদে, নিহত ২৮

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সর্বশেষ সংবাদ

সবুজ- সুবর্না’র ঈদের টেলিফিল্মঃ “পরম সুখ”

সবুজ- সুবর্না’র ঈদের টেলিফিল্মঃ “পরম সুখ”

April 28, 2022
84
আসছে এইচ টি প্রডাকশনের ঈদের নাটক ‘তুমি ছিলে হৃদয়ে’

আসছে এইচ টি প্রডাকশনের ঈদের নাটক ‘তুমি ছিলে হৃদয়ে’

April 28, 2022
59
নিউজিল্যান্ডে দুঃসংবাদ পেল বাংলাদেশ

নিউজিল্যান্ডে দুঃসংবাদ পেল বাংলাদেশ

December 15, 2021
14
১৫-১৭ ডিসেম্বর রাজধানীতে যান চলাচলে নির্দেশনা ডিএমপির

১৫-১৭ ডিসেম্বর রাজধানীতে যান চলাচলে নির্দেশনা ডিএমপির

December 15, 2021
16

ফেসবুক পেইজ

Facebook Twitter LinkedIn Youtube RSS

আমাদের কথা

ঢাকা পোষ্ট

dhakapostbd.com বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পোর্টাল। অনলাইন নিউজ পোর্টাল নির্ভীক, তদন্তকারী, তথ্যমূলক এবং নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে।
প্রকাশক: জাকির হাসান জুয়েল

যোগাযোগ

ঢাকাপোস্ট
আবেদীন গার্ডেন, ব্লক-ডি, রোড-৬, বাড়ী-২৩
লেভেল-৩, নিকেতন গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
হটলাইন-০১৯১১১৩১৩১৪, ফোন- +৮৮০২৯৮৮৯৯৯১

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ সোমবার, ২৩শে মে, ২০২২ ইং
  • ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
  • ২১শে শাওয়াল, ১৪৪৩ হিজরী
  • এখন সময়, বিকাল ৫:৩৪

Recent News

সবুজ- সুবর্না’র ঈদের টেলিফিল্মঃ “পরম সুখ”

সবুজ- সুবর্না’র ঈদের টেলিফিল্মঃ “পরম সুখ”

April 28, 2022
আসছে এইচ টি প্রডাকশনের ঈদের নাটক ‘তুমি ছিলে হৃদয়ে’

আসছে এইচ টি প্রডাকশনের ঈদের নাটক ‘তুমি ছিলে হৃদয়ে’

April 28, 2022

Copyright © 2020 Dhaka Post । All Rights Reserved । Development By Content Maker

No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • সারাদেশ
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
  • লাইফ স্টাইল
  • স্বাস্থ্য
  • পরবাস
  • অন্যান্য
    • সম্পাদকীয়
    • নির্বাচন
    • অপরাধ
    • আইন আদালত
    • মতামত

Copyright © 2020 Dhaka Post । All Rights Reserved । Development By Content Maker