সাম্প্রতিক সময়ে ইকর্মাস সাইট গুলোতে নানা অনিয়ম ফুটে উঠেছে। ইকর্মাস প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্ট গত ছয় মাসে ৩৫০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। ভর্তুকির পুরোটাই দিয়েছে বড় ছাড়ে মোটরসাইকেল বিক্রি করে। আর ছয় মাসে অন্য পণ্য বিক্রি করে ১৪০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। ফলে ছয় মাসে নিট ভর্তুকি হয়েছে ২১০ কোটি টাকা। আর পণ্য বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার।
আলেশা মার্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর আলম শিকদার আজ এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে সাম্প্রতিক অস্থিরতা, ব্যাংক ও বিকাশের মাধ্যমে লেনদেন বন্ধ করাসহ আলেশা মার্টের অবস্থান তুলে ধরতে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার বলেন, ‘আমরা জানুয়ারিতে আলেশা মার্ট চালু করি। প্রথম মাসে সেভাবে কোনো পণ্য বিক্রি হয়নি। এরপর আমরা ভর্তুকি দিয়ে মোটরসাইকেল বিক্রি শুরু করি। তবে অন্য পণ্যে ভর্তুকি দেওয়া হয়নি। এই সাত মাসে আমরা দেশের তিনটি শীর্ষ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের একটি হয়েছি। ইদানীং ই-কমার্স নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠছে। দেখতে একই রকম বলে মনে হতে পারে সবাই এক। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই। কোনো পণ্য সরবরাহকারী টাকা পাবেন না। আমরা তো তাদের অগ্রিম ৩৫০ কোটি টাকা দিয়ে রেখেছি। আমাদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদেরও কোনো অভিযোগ নেই।’
সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের (সিএসআর) অংশ হিসেবে আলেশা মার্ট গড়ে তোলা হয়েছে জানিয়ে মঞ্জুর আলম শিকদার বলেন, ‘অন্য ব্যবসায় আমাদের মুনাফা হয়। এখানে লোকসান হয়। সিএসআরের অংশ হিসেবে আলেশা মার্ট এখন চলছে। নিশ্চয়ই কিছু সময় পর এই ব্যবসায়িক মডেলে পরিবর্তন আসবে। পৃথিবীতে কোথাও ই-কমার্সে সিএসআর মডেল নেই। আমরাই প্রথম এই মডেলে ব্যবসা করছি।’