বহুজাতিক ফুড চেইন ম্যাকডোনাল্ডসে খেতে গিয়েছিলেন কলকাতার প্রিয়াংকা মিত্র। সঙ্গে বোন। সেই বোনের জন্য বার্গার আর নিজের জন্য ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অর্ডার দেন তিনি। খাবার এলো সময়মতোই। কিন্তু ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের সঙ্গে যা এলো, তা দেখে রীতিমতো আঁতকে উঠে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রিয়াংকা।
এ বিষয়ে ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল এনডিটিভিকে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়াংকা বলেন, ‘খাবার পরিবেশনের পর আমি ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ে একটি টিকটিকি দেখে আঁতকে উঠি। এর পর আমি দৌড়ে শৌচাগারে চলে যাই। এটা ভয়ংকর ছিল।’
প্রিয়াংকা বলেন, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের পাশেই ছিল টিকটিকিটি। এটি এমনভাবে ছিল যে কারো চোখ এড়িয়ে যাওয়ার কথা নয়। তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। এরপর তিনি একজন গাইনি চিকিৎসকের কাছে যান। ওই চিকিৎসক গর্ভের সন্তান ঠিক আছে নিশ্চিত করার পর তিনি আশ্বস্ত হন।
প্রিয়াংকার বোন সোনিকা পোদ্দার বলেন, ‘ঘটনার পর ম্যাকডোনাল্ডস থেকে একজন ফেসবুক প্রোফাইলের মাধ্যমে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু আমি তাঁকে বলেছি- আমরা বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’
প্রিয়াংকা আরো জানান, ঘটনার পর বিষয়টি ম্যাকডোনাল্ডস কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু কর্তব্যরত ব্যক্তিরা বিষয়টির সমাধান না করে দ্রুত খাবারটি সরিয়ে নেন। তাঁরা টাকা ফেরত ও একটি বিনামূল্যের খাবার দিয়েই ঝামেলা মেটাতে চান।
টিকটিকি দেখার পর পরই প্রিয়াংকা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের ছবি তুলেছিলেন। এটা নিয়ে তিনি স্থানীয় ফুলবাগান থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে কলকাতার ম্যাকডোনাল্ডসের কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। আর ভারতের দিল্লিতে ম্যাকডোনাল্ডসের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা জানান, পুরো বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। পুরো ঘটনাটি সামনে আনার জন্য প্রতিষ্ঠানের তরফে একটি উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।